সরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার নিয়ম- কুয়েত ভিসার দাম

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কুয়েতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু কুয়েতে সরকারি চাকরি উদ্দেশ্যে যেতে হলে কত টাকা খরচ হয় অনেকে জানতে চায়। আবার অনেক মানুষ দেখবেন যারা বেসরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বেসরকারিভাবে কুয়েতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। অবৈধভাবে কুয়েতে ভ্রমণ করলে আপনার সমস্যার শেষ থাকবে না। সেইসাথে কুয়েতে কাজ পেতেও ঝামেলা হবে। আজকে আমাদের এই পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে কুয়েতে সরকারিভাবে যেতে পারবেন।

সরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার নিয়ম :

পৃথিবীর সব থেকে বেশি মুদ্রার দাম কুয়েতে। বাংলাদেশের কুয়েতের এক দিনার সমান ২৭০ টাকা। স্বাভাবিক অবস্থায় বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ছেলেরা কুয়েতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বর্তমান সময়ে কুয়েত সরকার অসংখ্য মানুষ চাহিদা দেখাচ্ছে। কুয়েতে যেহেতু কর্মী চাহিদা অনেক বেশি তাই সেখানে গিয়ে প্রবাসীদের বসে থাকতে হয় না। যে কোন একটি কাজের ব্যবস্থা হয়ে যায়। অনেকে কুয়েতে যাওয়ার কত টাকা খরচ পড়বে সঠিক তথ্য না জেনে ভুল করে থাকে। কুয়েতে যেতে একটু বেশি টাকা খরচ হলেও দিনশেষে অনেক ইনকাম করার সম্ভাবনা থাকে। কারণ বাংলাদেশের তুলনায় কুয়েতে শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। যারা অবৈধ বেসরকারি ভাবে কুয়েতে প্রবেশ করে।

তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন এবং কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তখন কুয়েত সরকার তাদের জেল পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। সরকারিভাবে কাগজপত্র ঠিক করে সঠিক নিয়ম মেনে কুয়েতের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে। তাহলে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়ায় কুয়েতে গিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো কিভাবে সরকারিভাবে কুয়েতে যাবেন। সকল বিস্তারিত তথ্য গুলো নিতে পারেন।

  1. পাসপোর্ট, 
  2. কর্মসংস্থান চুক্তি 
  3. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট 
  4. দূতাবাসের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর,
  5. ভিসা এবং জনশক্তি, ছাড়পত্রএবং মেডিকেল রিপোর্টের 
  6. টিকিট এবং অর্থপ্রদানের রশিদ

কুয়েতের ভিসার দাম :

আপনার অনেকেই কুয়েতে যেতে চান।কুয়েতের ভিসার মূল্য কত ? সে বিষয়ে জানতে চায়। আজকের এই প্রশ্নের আপনাদের আমরা জানিয়ে দেবো কুয়েতের ভিসার দাম কত ? অনেকে আছেন যারা কুয়েত সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা। তারা আজকে খুব সহজে কুয়েতে ভিসার সঠিক মূল্য সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা নিতে পারবেন। কুয়েতে গিয়ে কোন প্রকার প্রতারণা শিকার না হতে চাইলে আমাদের দেওয়া মূল্যবান পোষ্টটি দেখবেন। এখানে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি কুয়েতে ভিসার দাম কত এবং মেডিকেল বিমান টিকিট দিয়ে সব ধরনের খরচ কত হতে পারে।

  1. কুয়েতে ভিসার জন্য সাধারণত খরচ হয় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
  2. কিন্তু কুয়েত ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য খরচ হয় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
  3. মেডিকেল এবং বিমান টিকিট দিয়ে আপনার খরচ হয় ১.৫০ থেকে ২ লাখ টাকা।
  4. যারা দালালের মাধ্যমে যান তাদের এর থেকে একটু বেশি খরচ হয়।

কুয়েতে ড্রাইভিং বেতন কত

যে সকল যুবকরা কুয়েতে যাওয়ার জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে নিয়েছেন। সেসব বাংলাদেশীরা খুব সহজে ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েতে যেতে পারবেন। কারণ বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং ভিসা কুয়েত সরকার অনেক বেশি দিচ্ছে। এই কাজের সুযোগ সুবিধা অনেক পাবেন। ড্রাইভিং পেশায় কুয়েতে গিয়ে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। মাত্র ৪ ঘন্টা ডিউটি করলে দিনের কাজ শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু তারা সঠিক তথ্য জানেনা। ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েতে বেতন কত ? তাই এই পোস্টের মধ্যে আমরা আপনাদেরকে জানাতে সক্ষম হব ড্রাইভিং ভিসা কুয়েতে বেতন কিরকম হতে পারে। আবার চেষ্টা করেছি ড্রাইভিং বিষয় কুয়েতে কত টাকা প্রদান করতে সঠিক তথ্য গুলো দিতে। আশা করি এই পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে।

  • একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ডিউটি করলে মাসে কুয়েতি 150 দিনার বেতন পায়।
  • আবার যারা ১৫-১৬ ঘণ্টার কাজের ভিসায় আসছেন তারা 200-250 দিনার বেতন পাচ্ছেন।
  • এক দিনার সমান বাংলাদেশী ২৭৪ টাকা।
  • ওই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, একজন শ্রমিক মাসে 3000 হাজার 40000 টাকা উপার্জন করতে পারছেন।
  • ভাগ্য ভালো থাকলে ওভারটাইম পেয়ে যান।
  • সবমিলিয়ে 30000-40000 হাজার টাকা পর্যন্ত একজন শ্রমিক কামাই করতে পারছেন।

শেষ কথা : প্রিয় ভিজিটর আবার চেষ্টা করেছি সরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বলতে। এরপরও কোন শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভিজিটর সরকারিভাবে কুয়েতে যেতে সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা চেষ্টা সকল ভিজিটরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। সেই সাথে আরো মনে রাখবেন অবৈধভাবে কখনোই কুয়েত যাওয়ার কথা ভাববেন না। তাহলে অনেক ধরনের ঝামেলার পোহাতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ সঠিক পন্থা মেনে বিদেশে কাজ করুক। তাদের প্রবাসীদের টাকা দিয়ে রেমিড্যান্স আরো শক্তিশালী হোক। বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাক। আশা করি সঠিক তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top