সেন্টমার্টিন দ্বীপ আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান

সমুদ্র সৈকতের মনমুগ্ধকর আবহাওয়া দেখতে কার ভালো না লাগে। সমুদ্র সৈকতের উত্তাল ঢেউ রোমাঞ্চকর পরিবেশ দেখে হৃদয় জুড়ে যায়। নীল আকাশের খেলা ও অজস্র পানি লীলাখেলায় পর্যটকদের মনে শান্তি পেলে মিলে। এ কারণে প্রতিবছর নভেম্বর থেকে এপ্রিল লক্ষ লক্ষ পর্যটন পর্যটক সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করে। সেন্টমার্টিন এর অপূর্ব দৃশ্য প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো নিজ চোখে না দেখলে কোনভাবে বিশ্বাস হয় না। এ যেন প্রাকৃতিক স্বর্গেই অপরূপ সুন্দর। সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে দেখবেন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান

  • শাহপরীর দ্বীপ
  • সেন্টমার্টিন বাংলাদেশ দ্বীপ
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ
  • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ পশ্চিম দ্বীপ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ শীতের মৌসুমে সেন্টমার্টিন ঘুরতে যায়। সেন্টমার্টিন এর অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেগুলো নিয়ে অনেক কল্পনা কল্পনা থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানে না সেন্ট মেটাল দ্বীপের বিশেষ দর্শনীয় স্থান কোনটি। আমরা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চেষ্টা করব। সেন্টমার্টিন দ্বীপের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলো নাম ও ঠিকানা। আশা করি আমাদের দেওয়া পোস্ট আপনাদের অনেক সাহায্য করবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানাতে। তাই দেরি না করে দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে ধারণা নিন।

সেন্টমার্টিন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য

পৃথিবীর অসংখ্য পর্যটক বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনে দেখতে আসে। তাদের দর্শনীয় স্থানগুলো সহ বিভিন্ন তথ্য সাহায্য করার জন্য গাইড প্রয়োজন হয়। একটি গাইড জন্য অনেক টাকা প্রদান করতে হয়। তাই আগে থেকে যদি সেন্টমার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে রাখেন। তাহলে কোন প্রকার বিভ্রান্ত ছাড়াই নিজে নিজেই সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল দর্শনীয় স্থানগুলো যেতে পারবেন।এবং অনেক তথ্য আপনার জানা থাকবে। বেশিরভাগ মানুষ সৌন্দর্য দেখার জন্য আসেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না জানার কারণে সেন্ট মার্টিনের অনেক কিছু মিস করে। আমরা আমাদের পোস্ট থেকে আপনাদেরকে জানাতে সক্ষম হব সেন্টমার্টিন সকল মূল্যবান তথ্য দিয়ে। এতে করে আপনার জন্য অনেক সুবিধা হবে সেন্টমার্টিন সম্পর্কে জানতে। আজকের এই পোস্টটাতে আমরা আলোচনা করেছি সেন্টমার্টিন এর যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে। আশা করি সকল তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা উপকৃত হবেন।

  •  সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি উন্নতমানের হোটেল ও কটেজ রয়েছে।  এতে ভাড়া পড়বে রুমভেদে ১,৫০০-৫,০০০ টাকা।
  • পর্যটকদের খাবারের জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁ। এখানকার ডাব অবশ্যই খাবেন। বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ খেতে ভুলবেন না। হোটেল বা রিসোর্টে বারবিকিউ পার্টিও করতে পারেন। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় খাওয়ার আগে একটু যাচাই করে নেবেন।
  • সেন্টমার্টিনে যাওয়া-আসার সময় সঙ্গে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র রাখবেন। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যেকোনো চেকিংয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র কাজে লাগতে পারে।
  • সেন্টমার্টিন   ৭০০০ মানুষ বসবাস করে

সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে কিছু কথা

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবল এবং সৌন্দর্যময় দ্বীপ সেন্টমার্টিন। যেখানে অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ বসবাস করে। তিন কিলোমিটার বর্গ আয়তনের দ্বীপটি দেখতে অপরূপ। যা সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা খরচ করে আসে। সেন্টমার্টিন ছোট দ্বীপে ৭০০০ মানুষ বসবাস করে।দ্বীপটি ছোট হলেও পর্যটকের ভিড় থাকে রমরমা। বিশেষ করে চারদিকে প্রাকৃতিক ভাবে ওঠা নারিকেল গাছগুলো পর্যটকের আকর্ষণের মূল। সাগরের মাঝখানে সারি সারি হয়ে নারকেল গাছগুলো প্রাকৃতিক দৃশ্য আসলেই দেখলে মন ভরে যায়। যার কারণে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে বিধি-নিষেধ: 

  • দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না
  • দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।
  • পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব দিকের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না।
  • দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করা যাবে না। এমনকি জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা যাবে না।
  • সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা যাবে না।
  • সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো যাবে না।
  • সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা কিংবা বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
  • ছেঁড়াদ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত কিংবা নোঙর করা যাবে না।
  • সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকারের অধিগ্রহণ করা ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণ করা যাবে না।
  • প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কচ্ছপ, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, ঘাস, শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও কেনা যাবে না।
  • জাহাজ থেকে গাঙচিল বা কোনো ধরনের পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না।
  • দ্বীপে সুপেয় পানির পরিমাণ সীমিত হওয়ায় সব সময় পানির অপচয় রোধ করতে হবে।

সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সতর্কীকরণ নির্দেশনা – 

  • সমুদ্রস্নানের আগে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিন।
  • এক হাঁটু পানির নিচে না নামাই ভালো।
  • পানিতে নেমে উত্তেজনার বসে তীর থেকে দূরে যাবেন না।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের অনুপস্থিতিতে ছোট ছোট বাচ্চা পানিতে নামা নিষেধ।
  • সাঁতার না জানলে পানিতে নামবেন না।
  •  একা একা কখনই পানিতে নামবেন না।
  • নৌযান চলাচলকালে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।

শেষ কথা : সেন্টমার্টিন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি অন্যতম পর্যটন এলাকা। দেশীয় পর্যটক সহ পৃথিবীর সব দেশের মানুষ শীতের সিজনে সেন্ট মার্টিনে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেন্টমার্টিন এর অপরূপ দৃশ্য ও দর্শনীয় স্থানগুলো পৃথিবীর সকল পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি সেন্টমার্টিন এর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানাতে। আশা করি আমাদের দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এরপর আপনাদের প্রশ্ন থাকে সেন্টমার্টিন সম্পর্কে। অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি যে কোন প্রশ্নের সমাধান দিতে। আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা উপকৃত হবেন। আরো বেশি তথ্য জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top