ফেসবুক আজকের সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের মধ্যে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের ভাবনা, আবেগ ও চিন্তাধারা প্রকাশ করার প্রবণতা দেখা যায়। তবে ভদ্র ছেলেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা ও পরিশীলিত হয়। তারা এমন স্ট্যাটাস দেন যা সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, ইতিবাচক চিন্তা ও নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটায়।
ভদ্র ছেলেরা সাধারণত ফেসবুকে এমন কিছু লেখেন যা অন্যদের অনুপ্রাণিত করে। যেমন, জীবন নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, সফলতার গল্প, আত্মউন্নয়নের পরামর্শ বা সামাজিক সচেতনতা নিয়ে স্ট্যাটাস। এই ধরনের স্ট্যাটাস পাঠকদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজে একটি সুন্দর বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।
তাদের স্ট্যাটাসে অহংকার বা আত্মপ্রচারের কোনো স্থান নেই। বরং তারা নম্র ও বিনয়ী ভাষায় তাদের মতামত তুলে ধরেন। উদাহরণস্বরূপ, তারা হয়তো লিখতে পারেন, “সবার প্রতি সদয় হোন, কারণ কার কী সংগ্রাম চলছে তা আমরা জানি না।” এমন সহজ ও মানবিক বার্তা অনেককেই অনুপ্রাণিত করে।
ভদ্র ছেলেরা ফেসবুকে মনোবল বাড়ানোর মতো উক্তি, সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে পোস্ট কিংবা বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে স্ট্যাটাস দেন। এতে অন্যরাও তাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পায়। উদাহরণস্বরূপ, “বই পড়া মস্তিষ্কের জন্য খাদ্যের মতো। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন।” এই ধরনের স্ট্যাটাস অন্যদেরও বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।
তাছাড়া, ভদ্র ছেলেরা নেতিবাচক বা বিতর্কিত বিষয়ে নিজেদের জড়ান না। তারা এমন কিছু লেখেন যা সবাইকে একত্রিত করে, যেমন সাম্প্রতিক কোনো ইতিবাচক ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাস বা কোনো সামাজিক সমস্যার সমাধান নিয়ে চিন্তাভাবনা। এতে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
সবশেষে বলা যায়, ভদ্র ছেলেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস মানেই চিন্তাশীল, পরিশীলিত এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক বার্তা। তাদের স্ট্যাটাস পড়ে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন এবং নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। তাই আমাদেরও উচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল ও সচেতনভাবে নিজেদের প্রকাশ করা।