কর্মসংস্থান ব্যাংকে কিভাবে লোন পাওয়া যাবে- কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন নেওয়ার নিয়ম


সাধারণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য লোন লোনের দরকার পড়ে। একটি লোন নিতে হলে অবশ্যই প্রকল্প থাকতে হবে। প্রকল্প বিহীন কোন প্রতিষ্ঠানটিতে লোন দিতে চায় না। ব্যবসা মূলধন পুঁজি বৃদ্ধির জন্য লোন নিতে হয়। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে খুব সাধারণ যোগ্যতা নিয়ে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন করার জন্য কি যোগ্যতা লাগবে।কি কি নিয়ম ও লোন পদ্ধতি তথ্যগুলো এখানে জানতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে আজকে জানাবো কর্মসংস্থান ব্যাংকের সকল বিস্তারিত তথ্য।

বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক এনজিও প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে থাকে। তবে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ঋণ প্রদানের সিস্টেম আলাদা। এখানে ঋণ গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সঠিক প্রকল্প থাকতে হবে। প্রকল্প বিহীন কোন ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে যেসব সুযোগ সুবিধা পাবেন। অন্য কোন ব্যাংক থেকে এত বেশি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না। অনেকে লোন নিতে চায় কিন্তু তারা এই ব্যাংকের নিয়ম কানুন সম্পর্কে কোন কিছুই জানে না। সেই সব লোকদের জন্য আজকে আমরা কিছু কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রকল্পের লিস্ট প্রদান করেছি। এই প্রকল্প গুলো দেখে আইডিয়া নিতে পারবেন। আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা।

কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রকল্পের লিস্ট :

  • শিল্প কারখানার কর্মসংস্কার কর্মচারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা ।
  • ল্যাপটপ কম্পিউটার ক্রয় বিক্রয় ঋণ প্রদান।
  • বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া।
  • কৃষিভিত্তিক শিল্পে ঋণ দেওয়া।
  • গৃহ নির্মাণে ঋণ প্রদান করা।
  • মোটরসাইকেল ঋণ।

একটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠান তখনই আপনার ঋণ প্রদান করবে। যখন আপনার সবগুলো যোগ্যতা থাকবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই দেখবে ১৮ বছর বয়স আছে কিনা, বাংলাদেশের সুনগরিক, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য থাকতে হবে। অন্য কোন ব্যাংকের সাথে লেনদনে জড়িত আছেন কিনা। এসব বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে। যদি সবগুলো যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে কেবলমাত্র কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন নিতে পারবেন। কি খবর শর্ত পূরণ করতে না পারলে আপনাকে লোনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। পূর্বে কোন ব্যাংকের সাথে করলে সকল মানুষকে ঋণ গ্রহণ কোনভাবে দিবে না। প্রতিষ্ঠান সবসময় ভালো প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায়। যেন উভয়ে লাভবান হতে পারে। এ সকল শর্তগুলো পূরণ করতে পারে কর্মসংস্থান ব্যাংকে খুব সহজ কিস্তিতে লোন নিতে পারবেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা : :

  1. স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।
  2. ১৮ থেকে ৪৫ বয়সের মধ্যে বয়স হতে হবে।
  3. কোন প্রকার ঋণ খেলাপি যোগ্য হবে না।
  4. ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য থাকতে হবে।
  5. নির্দিষ্ট কোন একটি প্রকল্প থাকতে হবে।
  6. সময়মতো টাকা পরিশোধ করা মন মানসিকতা দেখাতে হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার কাগজপত্র :

একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আপনাকে যখন লোনের অন্তর্ভুক্ত করবেন। ডকুমেন্ট হিসেবে অনেক কাগজপত্র জামানত হিসেবে দিবেন। সেসব কাগজপত্র ফটোকপি আগে থেকে ঠিকঠাক করে রাখতে হবে। কাগজপত্র সাথে দুইজন গ্যারানটার স্বাক্ষর সহ অফিসে নিয়ে যেতে হবে। কেননা ব্যাংক প্রতিষ্ঠান গ্রান্টার ছাড়া কোনভাবেই ঋণ প্রদান করবেনা। যে সকল কাগজপত্র লোন গ্রহন করার জন্য লাগবে। তার তালিকা নিচে প্রদান করা হচ্ছে।

  • প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের ঋণ প্রদানকারী শাখায় নির্ধারিত ফরমে ঋণের আবেদন;
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি;
  • গ্যারান্টারের সদ্য তোলা ০২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি;
  •  আবেদনকারী ও গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি (বাধ্যতামূলক নয়);
  •  উদ্যোক্তা/গ্যারান্টারের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র হিসেবে উদ্যোক্তা/গ্যারান্টারের দলিল/পর্চার ফটোকপিসহ স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলার কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদপত্র;
  •  শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  •  প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  •  ভাড়া/লীজ-এর ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র/ব্যবস্থাপকের প্রত্যয়নপত্র;
  • প্রকল্পস্থানের মালিক গ্যারান্টার হলে গ্যারান্টারের সম্মতিপত্র;
  •  ভাড়া/লীজকৃত হলে ভাড়া চুক্তিপত্র/লীজপত্রের কপি;
  •  যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ঋণের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ০৩টি দরপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ;
  •  ১,০০,০০০/- টাকার ঊর্ধ্বে ঋণের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ;
  •  ড্রাগ লাইসেন্সের কপি (ঔষধের দোকানের ক্ষেত্রে;
  •  প্রকল্প/প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় বিবরণী।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার কাগজপত্র :
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার কাগজপত্র :

কৃষি শিল্পে ঋণ সহায়তা প্রকল্প

  • কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সাধন।
  • গ্রামীণ পর্যায়ে শিল্প বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
  • জিডিপিতে কৃষি ভিত্তিক শিল্পের অবদান সৃষ্টি করা।
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন  সুদের হারঃ

উৎপাদনশীল ও সেবামূলক খাতের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার বার্ষিক শতকরা ১১ টাকা (Flat Rate), ঋণটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ১% যোগ করে সুদারোপযোগ্য;

 বাণিজ্যিক খাতের ঋণের ক্ষেত্রে বার্ষিক শতকরা ১৩ টাকা (Flat Rate), ঋণটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ১% সুদারোপযোগ্য;

 কৃষি ভিত্তিক শিল্পখাতে বার্ষিক ৮%-৯%;

  ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণ কর্মসূচী-১৩%।

শেষ কথা : আমরা চেষ্টা করছি কর্মসংস্থান ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তবে অবশ্যই কাগজপত্র ঠিকঠাক করে ঋণ গ্রহণ করতে যাবেন। না হলে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা করতে পারেন। কোন সংস্থান ব্যাংকের লোন সম্পর্কে আরো জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ এবং আপডেট তথ্য পেতে থাকলে আমাদের সাথে থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top