ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট

ওজন কমানোর জন্য সঠিক নিয়ম জানতে হবে। অনেকেই মনে করে খাবার কম খেলে খুব দ্রুত ওজন কমে যায় কিন্তু সেটা একদমই সম্ভবপর নয়। ওজন কমানোর জন্য সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে শরীরের ওজন কমানো সম্ভব হবে। খাবার কমিয়ে দিলে সেটা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে। যা দ্রুত শরীরে দুর্বল করে ফেলব ও তার সাথে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেবে। তাই ওজন কমানোর সঠিক নিয়ম কানুন আমরা আজকে এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো।
- খুব সহজে পড়ুন :
- ওজন কমানোর উপায়
- ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট
- ভাত খেয়ে ডায়েট কন্ট্রোলের চার্ট
- রুটি জাতীয় খাবার খেয়ে ডায়েট চার্ট
- দ্রুত ওজন কমানোর চার্ট
কোন কোন খাবার পরিহার করলে শরীরের ওজন কমবে এবং কোন কোন পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরের সুস্থ থাকবে। ওজন কমানোর সেই বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা হবে ।আমরা যে সকল পরামর্শ প্রদান করব সেগুলো সঠিকভাবে পালন করলে অবশ্যই শরীরের ওজন কমবে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারগুলো শরীরের জন্য উপকারী এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সেই বিষয়ে খুটিনাটি সকল তথ্য নিয়ে আজকে এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হচ্ছে।
শরীরের ওজন কমানোর খাবার
গ্রিন টি : প্রতিটি গ্রীনটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। একটি সুস্থ মানুষ প্রতিদিন চার কাপ গ্রিন টি পান করলে তার শরীরের মধ্যে ৪০০ গ্রাম ক্যালোরি ক্ষয় হবে। তাই সুস্থ থাকতে গ্রিন টি ব্যবহার করুন।
পপকন খাওয়া : পপকন কোন প্রকার তৈলাক্ত ও মেদ বাড়ানোর কোন প্রকার উপকরণ নাই। তাই পপকর্ন খান শরীর মধ্যে ক্যালোরি যুক্ত করুন। যা শরীরে ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
মসলাদার খাবার : মসলাজাতীয় খাবার যেমন- হলুদ, ধনে, জিরা, গুড়া ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রেখে দেবেন। এগুলো শরীরের ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করবে।
শাকসবজি খাবার : শাকসবজি প্রতিদিন খাবারের মধ্যে রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে ও পাশাপাশি শরীরের ওজন দ্রুত কমবে। এছাড়াও শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে। যা শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করবে।
ওজন কমানোর উপায়
সঠিক ঘুম : একটি সুস্থ মানুষ দৈনদিন ৮ ঘন্টা করে ঘুমানো উচিত। তবে সে ক্ষেত্রে রাত্রেবেলা খুব দ্রুত ঘুমাতে যাবেন এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবেন। দিনের বেলা ঘুমানো পরিহার করবেন।
শারীরিক পরিশ্রম : কঠোর পরিশ্রম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার জন্য নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করবেন। শারীরিক পরিশ্রম করলেই দ্রুত মেদ ঝরে পড়বে।
নিয়মিত ব্যায়াম : ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিন মানুষের প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। যা ওজন কমাতে ও শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
খাবারের আগে পানি পান করা : আমরা সাধারণত খাবার পরে পানি পান করি। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করুন তারপর খাবার পান করুন। এতে করে শরীর ভালো থাকবে এবং মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট
ওজন কমানোর জন্য সঠিক নিয়ম জানতে হবে। অনেকেই মনে করে খাবার কম খেলে খুব দ্রুত ওজন কমে যায় কিন্তু সেটা একদমই সম্ভবপর নয়। ওজন কমানোর জন্য সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে শরীরের ওজন কমানো সম্ভব হবে। খাবার কমিয়ে দিলে সেটা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে। যা দ্রুত শরীরে দুর্বল করে ফেলব ও তার সাথে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেবে। তাই ওজন কমানোর সঠিক নিয়ম কানুন আমরা আজকে এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো।
ভাত খেয়ে ডায়েট কন্ট্রোলের চার্ট
১ কাপ ভাত: ভাতের পরিমাণ ১ কাপই হতে হবে। কোনো ভাবেই এর চাইতে বেশী নয়। |
১ টুকরো মাছ/ মাংস: মাঝারি আকৃতির এক টুকরো মাছ/মাংস শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে। |
১ কাপ সবজি: কম তেলে বা তেলবিহীন সবজিভাজি ফ্যাট অনেকাংশে কমায়। ১ কাপ পরিমাণ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্ট-এ রাখবেন। সবচাইতে ভালো হয় কাঁচা সবজির সালাদ রাখলে। |
১ কাপ ডাল: ডাল ফ্যাট কাটতে সহায়তা করে। পাশাপাশি পুষ্টি যোগায় শরীরে। |
দই: ১ কাপ টক দই। এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে। |
রুটি জাতীয় খাবার খেয়ে ডায়েট চার্ট
২ টি পাতলা আটার রুটি: রুটিটি অবশ্যই আটার হতে হবে। লাল আটা হলে ভালো হয়। ময়দা ও পাউরুটি হলে চলবে না। কারণ ময়দার রুটি ও পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে। |
১ বা ২ কাপ সবজি: কম তেলে বা তেলবিহীন সবজিভাজি আটার রুটির সাথে খেতে পারেন। |
১ থেকে ২টি ডিমের সাদা অংশ: ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই ১/২ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কিংবা এক টুকরো মাছ বা মাংস যা আপনার পছন্দ। |
১ বা ২টি ফল: নাসপাতি, আপেল কিংবা পেপে এই তিনটি ফলের যে কোন ১ টি খাবেন। দই খেতে চাইলে ২/৩ টেবিল চামচ খেতে পারেন। |
দ্রুত ওজন কমানোর চার্ট
আধা কাপ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স: হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে কর্ণফ্লেক্স অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। যদি চিনি ছাড়া খেতে না পারেন তবে মধু ব্যবহার করতে পারেন। |
১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ: মাখন ছাড়া দুধে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই ডায়েট চার্ট-এ ১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ অবশ্যই রাখবেন। |
ফল: এই ডায়েট চার্টে ফলের গুরুত্ব অনেক বেশী। বেশী করে পাকা পেপে খাবেন রাতে। এরা ফ্যাট কমাতে অনেক সহায়তা করে। |
কর্ণফ্লেক্স ও দুধ একসাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুধটা ঠাণ্ডা না খেয়ে গরম খাবেন। সাথে খেতে পারেন এক মুঠো কাঠ বাদাম। |