তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর বিয়ে। ‘জান্নাত পর্যন্ত সহযাত্রী’ স্লোগান সামনে রেখে গত ১১ই মার্চ ২২তম এ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৬০০ ছাত্রছাত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর দেশটিতে আলেমসমাজ তারুণ্যের নৈতিক উন্নতির প্রতি বিশেষ নজর দেন। যার ফলস্বরূপ বিগত প্রায় দুই যুগ ধরে এ ধরনের ‘বিবাহ উৎসব’ চলে আসছে।
সাধারণত ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অফিস ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে প্রতি বছর এ ‘বিবাহ উৎসবের’ আয়োজন করা হয়ে থাকে। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের পরস্পরের কাছাকাছি আসার অনেক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।এখানে পরস্পর চিন্তাবিনিময়ের সুযোগ ঘটছে; যেসব বিষয়কে একটি ছেলে বা মেয়ে গুরুত্ব দেয়, তার ভিত্তিতেই অপরজনকে পছন্দ করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসে বর্তমানের এই আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের পরস্পরের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে যারা একসঙ্গে পড়াশোনা করছেন তারা পরস্পরের মধ্যে চিন্তাবিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে অনেক সময় একজনের আরেকজনের প্রতি ভালোলাগা বা ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। যুবক-যুবতীদের নৈতিক অবক্ষয় রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এবছর এ উৎসবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪হাজার শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। সমাজের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের উৎসবের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন উৎসবে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অবাক করার মত।