ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলে আমরা সকাল-সকাল নামাজ পড়া উদ্দেশ্যে পাঞ্জাবি ও টুপি পরে সবাই একত্রিত হয়। ঈদের নামাজ পড়া সাধারণ নামাজের মতো না যেখানে একটু ব্যতিক্রম। কেননা ঈদের নামাজের কোন প্রকার আজান হয় না এবং অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হয়। যারা ইমামের পিছনে ঈদের নামাজ পড়েন তারা অনেকে হয়তো ঈদের নামাজের নিয়ত কিভাবে পড়তে হয় সেই নিয়ম জানেন না। তাই আজকে আমরা ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম কারণ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।
ঈদুল ফিতরের নামাজের বাংলা নিয়ত
আমরা বেশিরভাগ মানুষ আরবি ভাষায় পারতাছিনা। তাই ইমামের পিছনে কিভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত করবেন সে বিষয়ে অনেকেই জানিনা। তাদেরকে জানানোর জন্য আজকে ঈদুল ফিতরের নামাজের সঠিক নিয়ম প্রদান করতেছি। ইমামের পিছনে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করছি এই ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবি
যারা সহি ভাবে আরবি পড়তে পারেন এবং বুঝেন জানেন। তাদের জন্য ঈদের নামাজের নিয়ত আরবীতে পড়তে পারেন। কিভাবে আরবিতে ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত করবেন সেটি জানতে হলে নিচের আরবি নিয়ত মুখস্ত করতে পারেন এবং বাংলায় পড়তে পারেন।
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতা সালাতি ঈদিল ফিতর,
মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম,
মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ঈদুল ফিতর নামাজের সঠিক নিয়মকানুন
ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব পূর্ণ নামাজ পড়ার জন্য একসাথে অনেক মুসল্লিগণ একত্রিত হন। সেই নামাজ সঠিকভাবে পড়ার জন্য অবশ্যই নিয়ত করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে আপনাদেরকে ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত জানিয়ে দিয়েছি। এরপর নিয়ত করার পরে আল্লাহু আকবার বলে তাহলে বাঁধতে হবে। তারপর সকল মুসলিমদের ছানা পড়তে হবে।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম
- নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত তুলে তাহরিমা বাঁধতে হবে।
- ছানা পড়েন মুসল্লিরা- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
3. তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করে তাকবির বলতে হয়। প্রথম দুই বার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু তৃতীয়বার বলে হাত বেঁধে নেন সবাই। প্রতিটি তাকবিরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এমন সময় থেমে থাকতে হয়।
4. আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা যুক্ত করেন ইমাম।
5. এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াতে হয়।
6. বিসমিল্লাহ বলার পর সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটি সূরা মেলানো হবে।
7. তারপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার মাধ্যমে তিনটি তাকবির সম্পন্ন করতে হয়।
8. এ সময় প্রতিটি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে এবং চতুর্থবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাওয়া নিয়ম। এরপর সেজদা ও আখেরি বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ হয়।
9. ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠে দুটি খুতবা দেন। ঈদের খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবা শেষে সবাই মসজিদ থেকে বের হবেন।