ই পর্চা

ই -পর্চা eporcha.gov.bd খতিয়ান অনুসন্ধান, নামজারি খতিয়ান যাচাই ,ই-পর্চার সুবিধা

ই -পর্চা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে জমি- জায়গার খতিয়ান সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যেমন, ভ্যালিডিটি দেখা, আসল মালিক পক্ষ দেখা,কপি ডাউনলোড, নবায়ন আবেদন ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করাকে ই পর্চা বলে।ই পর্চা একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যেখানে খুব সহজে জমির খতিয়ান যাচাই করা যায়।

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে,যখন সবকিছুই অনলাইনে হচ্ছে তবে জমি সংক্রান্ত বিষয় বাদ থাকবে কেন।একটি জমির অতীতের মালিক এবং জমির দাগ খতিয়ান সব ই পর্চার মাধ্যমে জানা যায়। তাই কৃষক এবং সকল মানুষের জমি সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হচ্ছে ই পর্চা। জমি সংক্রান্ত যে কোন জটিলতা নিয়ে আর রেকর্ড অফিসে ঘুরাঘুরি করতে হবে না মাসের পার মাস। ই -পর্চা ওয়েব সাইটে আবেদন করে, চিন্তা মুক্ত থাকা জায়।ই পচায় আবেদন কারতে হ’লে প্রথমত ই পচার ওয়েব সাইটে আসে যে ফর্ম আসবে সেখানে সব সঠিক দিয়ে ফর্ম পূরন করতে হয়। যারা জমি কিনবে তারা খুব সহজে অনলাইনে জমির খতিয়ান যাচাই করতে পারবে। এ জন্য স্মার্ট ফোন বা পিসিতে গিয়ে যে কোন ব্রাউজার ওপেন করে www.eporcha.gov.bd টাইপ করলে ই পর্চা সাইট ওপেন হবে।একটি ফর্ম আসবে সেখানে জমিটি কোন জেলা বা উপজেলা, মৌজা নির্বাচন করে।খতিয়ান নাম্বার এবং দাগ নাম্বার লিখতে হবে, যদি যাবতীয় তথ্য সঠিক হয় তবে জমির মালিকের নাম এবং তার বাবা নাম ও মালিকের কতো বিঘা জমি আছে সব দেয়া থাকবে। এতে জমি কিনার আগে জমির পুর্বে সব ইতিহাস জানা যায় তখন আর জমি নিয়ে হয়রানি হতে হয় না।

জমির খতিয়ান নাম্বার দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই রা যায়।কারণ ই পর্চায় খতিয়ান নাম্বার, জমির এবং জমির মালিকের সব তথ্য । খতিয়ান নাম্বারের মাধ্যমে জমির কোন ভেজাল আছে কি না জানা যায়।

ই -পর্চা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৪ প্রকার

১.সি. এস খতিয়ান

২. এস.এ খতিয়ান

৩.আর. এস খতিয়ান

৪.বি. এস খতিয়ান।

সি.এস খতিয়ান ১৯৪০ সালে করা হত। রাষ্টীয় প্রজাতন্ত্র আইন অনুযায়ী এস.এ খতিয়ান প্রস্তুত করা হত। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার আর.এস খতিয়ান প্রস্তুত করত। ১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে বর্তমানে বি.এস বা সিটি জরিপ চলমান আছে।

eporcha.gov.bd খতিয়ান অনুসন্ধান,নামজারি খতিয়ান যাচাই,ই-পর্চার সুবিধা

  1. খতিয়ানে জমির মালিকের নাম, বাবার নাম,জমির মালিকের নাম,জমির দাগ এবং খতিয়ান নম্বর, জমির মালিক কোন শ্রেনির, জমির অবস্থান, পরিসীমা,খাজনা এবং খাজনা বৃদ্ধি পেলে তার পরিমান অন্তর্ভুক্ত থাকত।

2. এই পর্চায় বহুবিধ সুবিধা রয়েছে।এ পর্যার ফলে খুব সহজেই জমি সংক্রান্ত খবর জানা যায়। জমির খতিয়ান নাম্বার জানা থাকলে ৫মিনিটে জমির তথ্য জানা যায়। জমির দলিল কোনো কারনে হারিয়ে গেলে চিন্তার কিছু নেই কারণ রেকর্ড অফিসে জমির আসল মালিকানা কে এবং জমির সব তথ্য আছে। কেউ আর জালিয়াতি করে জমি ভোগ করতে পারবে না।আগে জমির কাগজ এর জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হতো , দালাল এর খপ্পরে পড়ে আর্থিক ক্ষতিসহ নানা ক্ষতি হয়েছে এখন আর তা হওয়ার ভয় নেই । ই-পর্চা সব সহজ করে দিয়েছে।

3. জমির কোনো কাগজের দরকার হলে ৫ মিনিটের মধ্যেই কাগজের কপি করে প্রয়োজনীয় কাজ করা যায়, এতে সময়ও বাঁচেও এবং ভোগান্তিও কম হয়। জমির কাগজ নেই এই কারনে কাউকে পথে বসতে হচ্ছে না কারন ই -পর্চায় জমির সবকিছু লিপিবদ্ধ আছে ৷ জমি কিনতে গিয়ে কেউ আর জালিয়াতির মত ভোগান্তিতে কেউ পড়বে না।

4. এই পর্চা সব সহজ করে দিয়েছে চোখের পলকে জমি নিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে না আর সময়ের সাথে তাল দিয়ে মানুষ যেমন ছুটছে এই সময় যদি কোন কাজ আটকে থাকে দিনের পর দিন তখন তো আর দেশ ও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না, পিছিয়ে যাবে তাই দেশের সকল কাজকে সহজ ও গতিশীল করতে অনলাইন ভুক্ত করতে হবে।
ই – পর্চা সেই শাখার মধ্যে অন্যতম।

ই-পর্চা সার্টিফাইড কপি বাসা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন

ই-পর্চা সার্টিফাইড কপি বাসা থেকে উত্তোলন করতে পারবেন এর জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় অফিসে যেতে হবে না। আপনি যদি ডাক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিতে পারেন তাহলে বাসায় এসে ই-পর্চা সার্টিফিকেট কঁপি পৌঁছে দেবে। জমির পর্চা পেতে হলে অনলাইন থেকে ই-পর্চা লিখে সার্চ দিতে হবে, তারপর যে অনলাইন প্লাটফর্ম এ যেসব অপশন আসবে, সেগুলো ফুলফিল করলে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ই-পর্চা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই অনলাইন থেকে ই-পর্চা ফরমটি আবেদন করতে হবে।

ই-পর্চা হটলাইন নাম্বার

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভূমি মন্ত্রণালয় জমিসংক্রান্ত হয়রানির জন্য থেকে মুক্তির জন্য হট লাইনের নাম্বার চালু করেছে। এই নাম্বারে কল করলে ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য খুব সহজে পেয়ে যাবেন। ই-পর্চা ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল তথ্য জানতে ডায়াল করুন 16122 নাম্বারে। ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য পাবেন জন্য কল করতে পারবেন।

সর্বশেষ বলা যেতে পারে, ভূমি বা জমি যাই বলি না কেন তার সকল সমস্যার সমাধান হলো ডিজিটাল ই -পর্চা।জমি সংক্রান্ত সকল প্রকার তথ্য এখন হাতের মুঠোয়।

Admin

Hello, This content has published by the Site Admin. At various times, we appoint different Admin for this Website and they manage content and everything during the period. Thank you for being with us. Have a nice day!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button